অর্থ বিভাগের সাম্প্রতিক সাফল্য ও অর্জনসমূহঃ জাতীয় সংসদে বাৎসরিক বাজেট, মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামো, মাসিক আর্থিক প্রতিবেদন, ত্রৈমাসিক বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন ও মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি-বিবৃতি প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর প্রভাব দ্রুত সময়ে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। দেশের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭.১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০২২ সালে উদ্ভূত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সার্বিকভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হয় এবং প্রভাব বাংলাদেশেও দেখা যায়। এরপরও ২০২২-২৩ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৭৮ শতাংশ যেখানে উদীয়মান উন্নয়নশীল দেশসমূহের গড় প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৪ শতাংশ। দারিদ্র্য নিরসনে সরকারের গৃহীত নীতি ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে লক্ষ্যাভিমুখী সম্পদ সঞ্চালনের ফলে ২০২২ সালে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশে ও অতিদারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। কোভিড-১৯ কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গৃহীত ২,৩৭,৬৭৯ কোটি টাকার ২৮ টি প্রণোদনা প্যাকেজ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। SEIP প্রকল্পের আওতায় ৭,২৮,৩০৩ জনকে বাজার চাহিদা উপযোগী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষিতদের মধ্যে ৫,১৪,৯৫৮ জনের (৭১% প্রায়) কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সুসংহতকরণ ও ঋণ ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফিন্যানশিয়াল কর্পোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন,২০২০, সরকারি ঋণ আইন,২০২১, মধ্যমেয়াদী (৩-৫ বছর) ঋণ কৌশল পত্র প্রণয়ন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন,২০২৩, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা,২০২৩ প্রণয়ন, সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন এবং এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সরকারের নগদ ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার লক্ষ্যে স্বায়ত্তশাসিত/রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অনুদান/ঋণ এর হিসাব আইবাস সিস্টেমে পার্সোনাল লেজার (পিএল) একাউন্ট ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করা শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আর্থিক ব্যবস্থাপনা অধিকতর অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। |